উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করবে শিক্ষক সমিতি


admin প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২, ২০২৪, ১:০৬ পূর্বাহ্ন /
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করবে শিক্ষক সমিতি

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এএফএম আবদুল মঈন গত ৩১ মার্চ ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বক্ষেত্রে জামাতের অনুসারী বেশি’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ সসংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ করে অনলাইন গণমাধ্যম বাংলানিউজ ২৪। এ সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সাত দিনের মধ্যে তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এক দফা আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছে শিক্ষকরা।

রবিবার (১ এপ্রিল) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক(ভারপ্রাপ্ত) ড. মাহমুদুল হাসানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩১ মার্চ ২০২৪ উপচার্যের মিথ্যাচার সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তিনি ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বক্ষেত্রে জামাতের অনুসারী বেশি’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি শিক্ষকদের সাথে গঠনমূলক সমালোচনায় অংশগ্রহণ না করে ব্যক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হয়েছেন যা মোটেও উপাচার্যসুলভ আচরণ নয়।

এছাড়াও উপাচার্যের সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, অব্যবস্থাপনা, নিয়োগ/পদোন্নতিতে বিধি বহির্ভূত অবৈধ শর্ত আরোপ, শিক্ষকদের পদোন্নতি বঞ্চিত করা, স্থায়ীকরণ রোধ করা, আইন এর ব্যতায় ঘটিয়ে ডিন ও বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ, টেন্ডার বাণিজ্য, ভর্তি পরীক্ষার অর্থ আত্মসাৎ, গবেষণা প্রকল্পের তহবিল তসরুফ, তথ্য গোপন করে অবৈধ ইনক্রিমেন্ট গ্রহণসহ নানা আগ্রাসী আচরণ এর বিরুদ্ধে শিক্ষকরা তাদের যৌক্তক দাবিসমূহ আদাযে সামষ্টিক প্রতিবাদ করে যাচ্ছে। শিক্ষকদের আন্দোলনের চাপে কোণঠাসা হয়ে এখন তিনি মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে ২০০৬ সালে এবং শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রথমবারের মতো ১৫ জন শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শুরু হয় শিক্ষা কার্যক্রম। তাদের মধ্যে ০৮ জন শিক্ষকের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষকই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক। এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৬ জন শিক্ষক এর সিংহভাগ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন ও চর্চার মাধ্যমে শিক্ষা-গবেষণার উন্নয়ন এবং দেশ গঠনে অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং এ শিক্ষকগণই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যাদের কয়েকজন সদস্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।

শিক্ষক সমিতি মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে উপাচার্য যে বিরুপ মন্তব্য করেছেন এটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যাচার এবং মনগড়া বক্তব্য। এই বক্তব্যের সমর্থনে আগামী সাত দিনের মধ্যে অকাট্য তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনের আহ্বান জানান তাঁরা। এছাড়া প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এক দফা আন্দোলনের কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন বলেও হুশিয়ারি দেন শিক্ষক সমিতি।