কুবিতে পিস অ্যান্ড সেইফটি ক্যাফের যাত্রা শুরু, নেতৃ্ত্বে চাঁদনী-বাইজিদ


admin প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ৮:৫২ পূর্বাহ্ন /
কুবিতে পিস অ্যান্ড সেইফটি ক্যাফের যাত্রা শুরু, নেতৃ্ত্বে চাঁদনী-বাইজিদ

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নারী শিক্ষার্থীদের সামাজিক মূল্যবোধ, শান্তি, নিরাপত্তা এবং অধিকার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিকে উদ্দেশ্য করে যাত্রা শুরু করেছে “পিস এন্ড সেইফটি ক্যাফে” নামক সংগঠন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সংগঠনটির মডারেটর ও লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ জান্নাতুল ফেরদৌস কমিটি ঘোষণা করেন।

কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী চাঁদনী আক্তার এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন লোক প্রশাসন বিভাগের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ নাজিরুল হাসান বাইজিদ।

উক্ত কমিটিতে সহ সভাপতি হিসেবে রয়েছেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রোম্মানা হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ১৫ তম ব্যাচের মোহন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ১৫ তম ব্যাচের মোঃ মামুন, অর্থ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ১৫ তম ব্যাচের মোসাঃ তানিয়া আক্তার, এছাড়াও কার্য নির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী খাদিজা খাতুন রূপা এবং ইংরেজি বিভাগের ১৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী লাবীবা রশিদ রাফা।

সংগঠনটির মূল লক্ষ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের অধিকার সচেতন করে তোলা, নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করা। এছাড়াও নারী শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যায় কাজ করবে এই সংগঠন।

সংগঠনটির মডারেটর ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমাদের এই সংগঠন তৈরীর পেছনের কারণ হচ্ছে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিক্ষা জীবন নিশ্চিত করা এবং অধিকার আদায়ে কাজ করা। নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে আত্মনির্ভরশীল হওয়ায় কাজ করবে।

সংগঠনটির সভাপতি চাঁদনী আক্তার বলেন, এই সংগঠনটের মাধ্যমে আমরা নারী শিক্ষার্থীদের যে কোন সমস্যায় পাশে থাকার চেষ্টা করবো। তাদেরকে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা এবং আত্মনির্ভরশীল হাওয়ায় উদ্বুদ্ধ করব। পিস এন্ড সেফটি ক্যাসে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করবে।

সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজিরুল হাসান বাইজিদ বলেন, এই সংগঠনটির মাধ্যমে মূলত আমরা নারী শিক্ষার্থীদের শারীরিক-মানসিক এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সহায়তা করবে। এই সংগঠনটি বিভিন্ন কর্মসূচি, সেমিনারের মাধ্যমে নারী শিক্ষার্থীদের অধিকার সচেতন করে তোলায় কাজ করবে।

উল্লেখ্য, উক্ত কমিটি আগামী এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে।