কুবি উপাচার্য কোষাধ্যক্ষকে ও প্রক্টরকে অবাঞ্চিত ঘোষণার হুমকি


admin প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ১:৫৮ অপরাহ্ন /
কুবি উপাচার্য কোষাধ্যক্ষকে ও প্রক্টরকে অবাঞ্চিত ঘোষণার হুমকি

কুবি প্রতিনিধি:

৭ দফা দাবি আদায়ে এবার প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। ২৪ ঘণ্টার ভিতরে ব্যবস্থাগ্রহণ না করলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত ঘোষণা দেন তাঁরা। এদিকে তীব্র তাপদাহের কারণে আগামী ২ মে পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কতৃপক্ষ। কতৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে সশরীরে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির সাধারণ সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।

এসময় তিনি জানান, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২৪ ঘণ্টার সময় দিচ্ছি। যদি আমাদের দাবিসমূহ বাস্তবায়ন না করা হয় তাহলে তাহলে আগামী ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রবেশ সংরক্ষিত থাকবে। যেহেতু উপাচার্যের সকল অপকর্ম করেছেন কোষাধ্যক্ষের ইঙ্গিতে, সেজন্য আমরা কোষাধ্যক্ষকেও অবাঞ্চিত ঘোষণা করব।

তিনি আরও বলেন, রবিবার থেকে সশরীরে ক্লাসে ফিরবে শিক্ষকরা। গরমের মধ্যে সশরীরে ক্লাস কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কুমিল্লা অন্যান্য জায়গার চেয়ে তাপমাত্রা কম, আর এতোদিন মিস হওয়া ক্লাসগুলো পুষিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড এএফএম আবদুল মঈন বলেন, তদের দাবিগুলোর সমাধানের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও তাদেরকে বলা হয়েছে আপনারা বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সাথে বসেন। কিন্তু তারা বসেননি। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি কতৃক নিয়োগ দেওয়া ব্যক্তিকে কেউ অবাঞ্চিত ঘোষণা করতে পারেন কিনা এ বিষয়ে আমার জানা নেই।

শিক্ষকদের সশরীরে ক্লাসে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মূলত তারা কেন এমনটা করছে আমি বুঝতে পারছি না। পূর্বে তারা ক্লাস বর্জন করেছে। যা তাদের নিজস্ব ব্যপার। কিন্তু গরমের কারণে এখন প্রশাসন কতৃক অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা তারা মানছেন না। তারা মূলত প্রশাসনের বাহিরে গিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছেন।

এর আগে ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৩ দফায় ক্লাস বর্জন করেন শিক্ষক সমিতি। এছাড়াও প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রায় ১২ জন শিক্ষক বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন।