কুমিল্লায় চাচাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ভাতিজার প্রাণদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার তিতাসে হাজী নবী হোসেন (৬৪) নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার দায়ের তার ভাতিজা মোঃ আবদুল আউয়ালকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ার) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। এছাড়াও তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও প্রদান করা হয়।
দ-প্রাপ্ত আবদুল আউয়াল কুমিল্লার তিতাস উপজেলাধীন জগতপুর ইউনিয়নের কৈয়ারপাড় গ্রামের মৃত আঃ রবের ছেলে। হত্যাকা-ের শিকার নবী হোসেন তার তার পিতার আপন বড় ভাই। ২০২০ সালের ২৪ মে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।
মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এডভোকেট মোঃ মজিবুর রহমান বাহার।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি তিতাস থানার একটি মামলায় আউয়ালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তার সন্দেহ হয় চাচা নবী হোসেন-ই তাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছেন। এ সন্দেহের জের ধরে আউয়াল আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে ২০২০ সালের ২৪ মে স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে নবী হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর নবী হোসেনের ছেলে রাসেল (২৬) বাদী হয়ে আবদুল আউয়ালসহ অজ্ঞাত ২ জনকে আসামি করে তিতাস থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০২০ সালের ১৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর ২০২২ সালের ২১ আগস্ট আসামি নবী হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে রাষ্ট্রপক্ষে ১১জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আসামি আঃ আউয়ালের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদ- এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে কৌশলী অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ মজিবুর রহমান বাহার বলেন- রাষ্ট্রপক্ষ এবং অভিযোগকারী হিসেবে আমরা আশা করছি- মহামান্য হাইকোর্ট এ রায় বহাল রেখে শীঘ্রই রায় কার্যকর করে আসামির ফাঁসি নিশ্চিত করবেন।