কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন রিনথি ও তাঁর মা তাহমিনা আক্তার ফাতেমা হত্যাকাণ্ডে শোক প্রকাশ করে মৌন মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে প্রধান ফটক ঘুরে কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন পাহাড়তলী সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার গোলচত্বরে এসে শেষ হয়।
মিছিলে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুন ফেরদৌস ছাড়া বিভাগের অন্য কোনো শিক্ষক অংশ নেননি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সুমাইয়ার সহপাঠী নূর মোহাম্মদ সোহান বলেন, “গতকাল রাতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজ আমরা এই প্রতীকী আন্দোলন করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লোক প্রশাসন পরিবারের সঙ্গে নিজের ইচ্ছায় যুক্ত হয়েছেন। বিভাগের শিক্ষকদের দাওয়াত দেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি। যাদের ভেতর মানবিকতা আছে, তারা স্বেচ্ছায় দাঁড়াবেন। আমরা মনে করি তাদের মধ্যে নৈতিকতার অভাব আছে, এমনকি তারা জানাজাতেও উপস্থিত হননি।”
আরেক সহপাঠী মুনিয়া আফরোজ বলেন, “পুলিশ যেন দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে। তারা এখনো কোনো নির্দিষ্ট সময় দেয়নি। অনেক কিছু আমাদের অজানা রয়ে গেছে। তদন্ত আদালতে পাঠানো হোক, বিচারের মাধ্যমে যেন আমরা সবকিছু জানতে পারি। পুলিশ চাইলে দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারে।”
লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল আরাফাত আমিন রাফি বলেন, “এমন ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কখনো ঘটেনি। আমাদের বিভাগের একজন জুনিয়র নিহত হয়েছে, অথচ কোনো শিক্ষক সুমাইয়ার জানাজা কিংবা কোনো কর্মসূচিতে আসেননি। আশা করি সামনে শিক্ষকরা আমাদের পাশে থাকবেন। পুলিশের বক্তব্য ও সুমাইয়ার ভাইয়ের বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। এখনো হত্যার স্পষ্ট কারণ জানা যায়নি। এটি হতাশাজনক। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চাই, আর চাই ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটুক।”
আপনার মতামত লিখুন :