ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আতঙ্ক মরা গাছ, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল


admin2 প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৭, ২০২৫, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন /
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আতঙ্ক মরা গাছ, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

আবু সাঈদঃ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে শতাধিক গাছ মরে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে মরা গাছের নিচ দিয়ে যানবাহন ও পথচারী চলাচল করছে। যে কোনো সময় মরা গাছ ভেঙে সড়কে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা করছেন পথচারীরা। গাছগুলো ৩-৪ বছর ধরে পর্যায়ক্রমে মারা গেছে বলে জানা গেছে। ঝড়-বৃষ্টিতে বেশিরভাগ মরা গাছের ডাল পালা ভেঙে গেছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুপাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়। সেগুলো এখন বিশাল বৃক্ষে পরিণত হয়েছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সরেজমিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, সড়কের দুপাশে কড়ই, শালসহ বিভিন্ন প্রজাতির বেশকিছু গাছ মরে গেছে। কিছু গাছ পোকার আক্রমণে রোগাক্রান্ত হয়ে ডাল ও পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে।চান্দিনার বড়গোবিন্দিপুর,কাঠেরপুল,উপজেলা রাস্তার মোড়,চান্দিনা-বাগুর বাসস্ট্যান্ড,পালকি সিনেমা হলের সামনে,সুরপুর,নুরিতলা,কোড়েরপাড়,সাহারপাড়, কুটুম্বপুর,গোমতা এলাকায় গাছ মরে সড়কের দিকে হেলে আছে। মহাসড়কের পালকি সিনেমা হল থেকে কোড়েরপাড় পর্যন্ত দুপাশে অনেকগুরো মরা গাছ রয়েছে।

আল আরাফাহ পরিবহনের চালক জয়নাল মিয়া বলেন, ‘রাতের বেলায় প্রায় সময় মরা গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। এতে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। আমরা রাতে গাড়ি চালানোর সময় আতঙ্কে থাকি। কখন যে এ মরা গাছ ভেঙে গাড়ির ওপর পড়ে, এই ভয়ে থাকি!’

কাভার্ডভ্যান চালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে মরা গাছগুলোর ব্যাপারে সড়ক বিভাগ উদাসীন। আমরা দিবারাত্রি এ সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়ার সময় আতঙ্কে থাকি। দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন-খ্যাত সড়কটি দিয়ে প্রতি মিনিটে কয়েক শ যানবাহন চলাচল করে। ঝড়ো বাতাস এলে গাছের মূলসহ উপড়ে পড়ে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’

স্থানীয় ট্রাকচালক আমির হোসেন বলেন, ‘বহু বছর ধরে বড় গাছগুলো মরে দাঁড়িয়ে আছে। প্রায় সময় ডালপালা ভেঙে পড়ে। মাঝেমধ্যে রাতে ভয় হয়। দূর থেকে দেখে মনে হয় ভূত দাঁড়িয়ে আছে’।

কোড়েরপাড় এলাকার শাহিদুল আলম বলেন, কোড়েরপাগ গ্রামেই সড়কের দুপাশে ১০-১২টি মরা গাছ রয়েছে। এগুলো নিয়ে আমরা সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকি। যে কোনো সময় গাছ ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। গাছগুলো দ্রুত কেটে ফেলা প্রয়োজন।

চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিয়া হোসেন বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা বন অফিস কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানতে চাইলে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, গাছগুলো কর্তনের জন্য চি‎হ্নিতকরণ কাজ শুরু হবে। এটা অনেক সময়ের ব্যাপার।সরকারি বিধি অনুযায়ী গাছগুলো কর্তন করা হবে।