কুবিতে আরেক সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ


admin প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১, ২০২৪, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন /
কুবিতে আরেক সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

কুবি প্রতিনিধি:

এবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসেনা বেগম। ব্যক্তিগত কারণে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করে তিনি এ পদত্যাগ করেন।

সোমবার (০১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের পাঠানো হাসেনা বেগম স্বাক্ষরিত এক পদত্যাগপত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।

পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই পদত্যাগ করেছি। তবে ভবিষ্যতে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো কাজে যদি আমার প্রয়োজন হয়, আমি নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করব।

একেরপর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যহতি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, প্রক্টরিয়াল বডি থেকে এর আগেও অনেকে পদত্যাগ করেছে। প্রক্টরের সেচ্ছাচারিতার কারণে এবং উপাচার্যের বিভিন্ন সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম সৃষ্টি করার কারণে শিক্ষকরা তাদের নৈতিক জায়গা থেকে পদত্যাগ করছেন। উনি একজন স্বৈরশাসকের মতো বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করছেন। এগুলো যেসব শিক্ষক মানতে পারছেন না তারাই পদত্যাগ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব ক্রান্তিকাল চলছে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে যেভাবে শিক্ষকরা পদত্যাগ করছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকান্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা হচ্ছে না। এই বিষয়গুলো অনুধাবন করে উনি সেচ্ছায় পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত বলে একজন সচেতন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি।

আরেকজন সাবেক প্রক্টর মোহাম্মদ আইনুল হক বলেন, প্রক্টরের স্বেচ্ছাচারী মনোভাব, দায়িত্বহীনতা, সমন্বয়হীনতাই সহকারী প্রক্টরদের পদত্যাগের অন্যতম কারণ৷ প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের সুবিধার জন্য অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলো। গত ১৯ ফেব্রুয়ারী শিক্ষকদের উপর যে হামলা হয়েছে সেখানে প্রক্টরের ইতিবাচক ভূমিকার তুলনায় নেতিবাচক ভূমিকা বেশি ছিলো। আগেও বিভিন্ন বিষয়ে তিনি বিতর্কিত ছিলেন। ছুটি না নিয়ে পিএইচডি করে সার্টিফিকেট বৈধ করেছেন। তিনি আরো বলেন প্রক্টরের এসব বিষয়ে উপাচার্য অবগত আছেন। তিনি এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পরোক্ষ বা প্রত্যাক্ষভাবে ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছেন।

গত দুইমাসে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ১২ জন শিক্ষক বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন।