কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলামের আনীত অভিযোগ টি মিথ্যা দাবি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৫ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের ১৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলাম হৃদয় তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন। উক্ত ভিডিওতে তিনি ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তদন্ত টিম অভিযোগকারী দ্বীন ইসলামের বক্তব্য, তার হাতে থাকা অডিও রেকর্ড, প্রক্টর অফিসের শুনানি এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য সংগ্রহ করে। এসব তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অডিও রেকর্ডে কোনো প্রকার হুমকি বা হিংসাত্মক শব্দচয়ন পায়নি তারা। বরং সেখানে ছাত্রদল সম্পর্কিত কোনো আলোচনাও পাওয়া যায়নি বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বীন ইসলাম দাবি করলেও, কে তাকে “কথা শুনিয়েছে” সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ বা নাম উল্লেখ করতে পারেননি। তিনি স্বীকার করেছেন যে, কয়েকজন তাকে ফোনে আশ্বস্ত করেছে ছাত্রদল তার পাশে আছে ;কিন্তু এটি কখনো হুমকি হিসেবে গণ্য হতে পারে না।
তদন্তে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর এবং সাংবাদিকবৃন্দ। প্রক্টর ও প্রভোস্ট উভয়েই জানিয়েছেন, ছাত্রদলের কোনো সংশ্লিষ্টতা তারা খুঁজে পাননি। বরং প্রভোস্ট জানিয়েছেন, অভিযোগের বিষয়টি ভিডিও প্রকাশের আগেই মীমাংসা হয়েছিল।
ছাত্রদলের দাবি, দ্বীন ইসলামের এই ভিডিওকে কেন্দ্র করে ২৫ অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে এবং পরবর্তীতে দত্ত হলে কিছু শিক্ষার্থী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। তবে দত্ত হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ ঘটনায় অংশ নেয়নি। ছাত্রদলের অভিযোগ, কিছু বিপথগামী শিক্ষার্থী রাজনৈতিক ফায়দা লুটার উদ্দেশ্যে শান্ত ক্যাম্পাসকে অশান্ত করতে চেয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল জানায় “তদন্তে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, ছাত্রদলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি মহল রাজনৈতিক লাভের আশায় দ্বীন ইসলামের ভিডিওকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।”
ছাত্রদল প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় যেন এ বিষয়ে স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করে এবং মিথ্যা অভিযোগ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগকারী দ্বীন ইসলাম কার প্ররোচনায় ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এবং ২৫ অক্টোবরের রাতে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পেছনে কারা ছিল, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা না দিলে, ছাত্রদল তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :