কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় ছাত্রলীগের হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আবুল বাশার। নির্যাতনের কারণে তিনি মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারেননি। দীর্ঘ ৭ বছর শিক্ষাজীবন বন্ধ থাকার পর অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অনুমোদন পেয়েছেন তিনি।
আবুল বাশার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় তার ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, আবুল বাশার নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৪তম ব্যাচের সঙ্গে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য বিভাগীয় প্রধান বরাবর আবেদন করেন। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২তম একাডেমিক কাউন্সিলে সুপারিশ করা হলে, ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় শর্ত সাপেক্ষে তার ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়।
সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আবুল বাশারকে নৃবিজ্ঞান বিভাগ কর্তৃক মৌখিক বা লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে OBE কারিকুলামে মাস্টার্সে ভর্তির সুপারিশ করা হয়েছে। তবে OBE কারিকুলাম ছাড়া অন্য কোনো কারিকুলামে ভর্তির সুযোগ পাবেন না বলে শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
আবুল বাশার তার ভর্তির আবেদনপত্রে অভিযোগ করেছেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে একাধিকবার তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়, যার ফলে তার মাথা ফেটে যায় এবং হাত ও পায়ের আঙুল ভেঙে যায়। এমনকি তাকে গুম করারও চেষ্টা করা হয়েছিল বলে তিনি দাবি করেন। নিরাপত্তাহীনতা ও হুমকির কারণে তিনি মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারেননি।
এদিকে এ সম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার স্বাক্ষরিত একটি ডকুমেন্ট প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তবে তিনি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারবেন না বলেও জানান। এছাড়াও এ সম্পর্কে উনার কিছুই মনে বলেও জানান প্রতিবেদককে।
আপনার মতামত লিখুন :