চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি:
পুলিশ ও জনগনের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন ও এলাকার সমস্যা সমাধানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’-এ স্লোগানকে ধারন করে বৃহস্পতিবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে হাইওয়ে কমিউনিটি পুলিশের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
কমিটি প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলেন হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়ন পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম, প্রধান উপদেষ্ঠা হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের সহকারি পুলিশ সুপার মাসুম সরদার, প্রধান সমন্বয়ক মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাদাত হোসেন। কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন; সভাপতি মোঃ শরীফ হাসান, সহ-সভাপতি মোঃ বাবুল মিয়া, নূর মোহাম্মদ, মোঃ আবু তৈয়ব, আবদুল কুদ্দুস, মোঃ বিল্লাল হোসেন, মোঃ শাহাদাত হোসেন, আরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, সহ-সাধারন সম্পাদক আজিম খাঁন, বাহার উদ্দিন আর্মি, ডাঃ আবদুল করিম, রফিকুল ইসলাম দুলাল। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন; মোঃ বাচ্চু মিয়া, মোঃ জহির উদ্দিন তোহা, জাফর আহমদ, মোঃ ইব্রাহিম হোসেন রুবেল, মোঃ সাকিব চৌধুরী, মোঃ শহীদুল ইসলাম, বদিউল আলম নোমান, মোঃ ফরিদুজ্জামান, মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, মোঃ আমির হোসেন, মোঃ আরিফুর রহমান, মোঃ নুরুল হক, মোঃ শরীফুল ইসলাম, মোঃ বশির মিয়া, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ লোকমান হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, মোঃ হাসান, মোঃ আব্বাস উদ্দিন, শহীদুল ইসলাম, মোঃ আবদুল্লাহ, মোঃ আবদুল সাত্তার, মোঃ দুলাল, ডাঃ আনোয়ার, আমিরুল ইসলাম মিয়াজী, মোঃ খোরশেদ আলম, মোঃ সজিব মিয়া, মোঃ জহিরুল ইসলাম, ওসমান গণি, মোঃ আবদুল হালিম, মোঃ রুহুল আমিন ফরায়েজী, নূরে আলম, শরীফ হোসেন, ফয়েজ আহমেদ, ছালে আহমেদ, ছৈয়দ আহমেদ, আব্দুর রহিম, কাজী সালাউদ্দিন নাছির, মোঃ হানিফ, মোঃ ফখরুল হাসান, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ ইলিয়াছ শিপন, সোহেল রাজ, মোঃ নুরুন্নবী মানিক, দেলোয়ার হোসেন মাছুম, জাহিদ হোসেন মাছুম, আবুল কালাম, মোঃ আবদুর রহিম পলাশ, মোঃ আবুল খায়ের, মোঃ জসিম মেম্বার, মোঃ জহিরুল ইসলাম, মোঃ মোহন মিয়া, সাইফুল ইসলাম খোকন, কাজী জাহাঙ্গীর, মঞ্জুর মোর্শেদ আলম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪৪ কিলোমিটার এলাকায় অপরাধ দমনে হাইওয়ে কমিউনিটি পুলিশের কমিটি গঠন করায় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সচেতন মহল।
কমিউনিটি পুলিশের বৈশিষ্ট্যসমূহ: ১। কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা পুলিশ ও জনগনরে মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ নিশ্চিত করা। ২। এটি একটি প্রতিরোধমূলক ও সমস্যা সমাধানভিত্তিক পুলিশী ব্যবস্থা। ৩। পুলিশ ও জনগণরে সমন্বয়ে উভয়ের নিকট গ্রহণীয় পুলিশী র্কাযক্রমরে একটি র্দশন হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং। ৪। এ ব্যবস্থায় জনগণ এলাকার সমস্যা ও সমস্যার কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানরে লক্ষ্যে পুলিশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ পায়। ৫। জনগণের নিকট পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। ৬। পুলিশ ও জনগনের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা ও শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পায়। ৭। জনগণ পুলিশ র্কাযক্রম ও পুলিশের সীমাবদ্ধতা সম্বন্ধে জানতে পারা। ৮। পুলিশ ও জনগনের মধ্যে দূরত্ব কমে এবং জনগনের মধ্যে পুলিশ ভীতি ও অপরাধ হ্রাস পায় এবং জনগণ পুলিশকে সহায়তা করার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়। ৯। পুলিশ জনগণকে পরার্মশ ও উৎসাহ দিয়ে তাদের অনেক সমস্যা তাদের দ্বারাই সমাধানের পথ বের করার জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করা। ১০। কমিউনিটির সম্পদ কমিউনিটির উন্নয়ণের জন্য ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
কমিউনিটি পুলিশের সুফলসমূহ; ১। পুলিশ ও জনগনের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন ও এলাকার সমস্যা সমাধানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ২। জনগণের সহায়তায় পুলিশ নির্দিষ্ট এলাকার সমস্যা সমাধানের কারণ চিহ্নিতি করে তা সমাধানের পরকিল্পনা ও বাস্তবায়নরে পদক্ষপে নিতে পারে। ৩। জনগণকে পুলিশের কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় জনগণরে প্রত্যাশা ও মতামতরে আলোকে পুলিশী সেবা নিশ্চিত করা যায়। ৪। পুলিশ এবং জনগনের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায় এবং জনগণ পুলিশ কাজের প্রক্রিয়া এবং পুলিশের সীমাবদ্ধতা জানতে পারা। ৫। পুলিশ ও জনগনের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পায়। ৬। পুলিশ ও জনগনের মধ্যে দূরত্ব হ্রাস পায়। জনগণ পুলিশকে আপন ভাবতে শিখা। ৭। জনগণের মধ্যে পুলিশ ভীতি ও অপরাধ ভীতি হ্রাস পায় এবং পুলিশকে সহায়তা করার জন্য জনগণ উদ্ধুদ্ধ হয় ও সাহস পায়। মানুষের মধ্যে পুলিশকে এড়িয়ে চলার প্রবণতাও হ্রাস পায়। ৮। পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ। এ স্লোগান বাস্তবে রুপ নেয়। ৯। এলাকার অপারাধ দমন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সহায়ক শক্তি হিসেবে একটি গণফোরাম তৈরী হওয়ায় অপরাধীরা নির্বিঘ্নে অপরাধ সংঘটনরে সাহস পায় না। সমাজে অপরাধ হ্রাস পায়। ১০। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত হয় এবং জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :