মালাপাড়া ইউনিয়নে জমি নিয়ে বিরোধ,হামলা–হুমকিতে আতঙ্কে ভুক্তভোগী পরিবার


admin প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৩, ২০২৫, ১:৩৯ অপরাহ্ন /
মালাপাড়া ইউনিয়নে জমি নিয়ে বিরোধ,হামলা–হুমকিতে আতঙ্কে ভুক্তভোগী পরিবার

নিজস্ব প্রতিনিধি:
মালাপাড়া ইউনিয়নের ৩নং অলুয়া গ্রামে জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এক পরিবারের ওপর হামলা, হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী মোঃ আবদুস সালামের দাবি তাদের পৈতৃক জমি দখল করতে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার প্রভাবশালী তার বাবার ফুফাতো ভাইয়েরা জালিয়াতির দলিলসহ নানা কৌশলে অত্যাচার চালিয়ে আসছে।

তিনি আরও জানান, তাঁর বাবা আব্দুল খালেক নাবালক অবস্থায় পিতৃহারা হন। পরবর্তীতে তাঁর ফুফু এবং ফুফুর চার সন্তান মিলে বিভিন্ন জাল দলিলের মাধ্যমে তাঁদের প্রাপ্ত নালা ও বাড়ির মোট প্রায় ৫৫ শতক জমি দখল করে নেন—এমন অভিযোগ রয়েছে।

আবদুস সালামের দাবি এ নিয়ে প্রশ্ন তুললে প্রতিপক্ষ স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখায় এবং নানা গায়েবী মামলায় হয়রানি করে। আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় তারা প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

এছাড়াও প্রতিপক্ষ পরিবারের এক সদস্য তার স্ত্রীকেও নানাভাবে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে, যার জেরে তারা জমি বিক্রি করে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। স্থানীয়দের অনেকেই এ ঘটনাগুলো সম্পর্কে অবগত বলে জানান তিনি।

তার দাবি থানার দ্বারস্থ হলেও তেমন কোন প্রতিকার পাননি। বরং উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই মামলা দিয়ে হয়রানি হয়েছে বলে অভিযোগ তার।

তিনি বলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উভয়পক্ষের আলোচনায় বিতর্কিত ৬ শতক জমির কোনো বৈধ দলিল উপস্থাপন করতে পারেনি প্রতিপক্ষ

স্থানীয় শিক্ষক রাসেল মাস্টার জানান”জমির খতিয়ান দলিল আবদুস সালাম গংদের নামে আমরা পেয়েছি কিন্তু প্রতিপক্ষ এমদাদুল গং তা মানতে নারাজ,পরবর্তীতে আমরা একটি সমাধানে আসলেও তা মানতে চায়নি এমদাদুল গং ।

ঘটনার সত্যতা জানতে প্রতিপক্ষ এমদাদুল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান কিন্তু পরবর্তীতে একাধিকবার তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মামুন কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন “আবদুস সালাম এর পিতা আগে তাদের কাছে জমিটি বিক্রি করে দিয়েছে আবদুস সালাম গং এটি জোর করে দখল করতে চায়”

তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জমি দখলে গেলে প্রতিপক্ষ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা করে এবং এতে তাদের পরিবারের কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে প্রতিপক্ষ স্থানীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও দাবি করেন তারা।