নিজস্ব প্রতিবেদক;
কুমিল্লা জেলা সদরের অশোকতলা রেল গেইট এলাকায় সজিব হোসেন বাবু (২২) নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় মাদক কারবারি একাধিক মামলার আসামী নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড সহ তার সহযোগীরা পূর্ব বিরোধ বা অন্য কোন কারনে পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজন ও সহকর্মীদের।
অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায়, ঘটনার পর থেকে আসামীদের হুমকি ধমকিতে অসহায় ও আতংকিত নিহতের পরিবারের সদস্যরা ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হননি।
নিহত সজিবের মামাত ভাই রাকিব, সহকর্মী বন্ধু ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গতকাল ৩ডিসেম্বর রাতে জীবন নামে এক যুবক সজিব কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পরিকল্পিত ভাবে নয়ন বন্ড, চয়ন সহ তার অন্যান্য সহযোগীরা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে এবং ছুরিকাঘাত করে মৃত ভেবে অশোকতলা রেল লাইনের পাশ ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে স্বজনরা রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নগরীর মুন হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মৃত্যু হয় তার। নিহত সজিব অশোকতলা এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করতেন এবং স্থানীয় স্বপ্ন সুপার সপে কর্মরত ছিলেন। সে দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহত রেল লাইন সংলগ্ন স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, “সন্ত্রাসী নয়ন বন্ড ও তার ভাই চয়ন সহ এদের সহযোগীরা এলাকার চিন্তিত মাদক কারবারি। একাধিক মামলাও রয়েছে। এলাকায় মারামারি, ছিনতাই মাদক কারবারসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত এরা। নিহতের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে, তাই তার ভীষণ আতংকে আছে। কোন প্রকার মামলা করলে নিহত সজিবের ছোট ভাইদেরও সর্বনাশ করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। দুপুরে হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা হুমকি ধমকি দিয়ে দ্রুত লাশ নিয়ে অশোকতলা থেকে গ্রামে চলে যেতে বলে। এসব বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও নিহত সজিবের পরিবারের কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। পরিবার নিহতের লাশ নিয়ে গ্রামে রওনা হওয়ার সময় তাদের থানায় নিয়ে আসা হয় এবং পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারে থানা পুলিশ সহ সেনাবাহিনী কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :