সাকলাইন যোবায়েরঃ ‘যে কথা যায়না বলা’সে কথা কোথায় নিত্য বাজে ? সফিকুল ইসলামের ৪৯ টি কবিতা নিয়ে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। কাব্যগ্রন্থটিতে লেখক ব্যাক্তি জীবন থেকে শুরুকরে পারিবারিক জীবন,সমাজ জীবন ও রাষ্ট্রীয়জীবনে যে সব কথা মুখ ফুটে বলা যায়না কিন্তু মানুষের মনে নিত্য বাজে কবিতার মাধ্যমে এসকল সত্য গুলোকে কবি সফিকুল ইসলাম অত্যন্ত সাবলীল ও সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
বিদ্রোহীর বিষ,কল্পনারী,বর্গির কবলে,উল্টো রথে,সীমা,প্রতিবেশী,খোয়াব,চোখ,পরমশান্তি,অস্বচ্ছ,যাহ,বধুয়া বলছি,বোঝা না বোঝা,খোলস বদল,বিদীর্ণ হৃদয়,ত্রানকর্তা,যদি এমনহতো,ব্রেইন ওয়াশ,লড়াই,নিজের মুখোমুখি,সত্য,রাজাকার ও সংসারকরিএসব কবিতা গুলোএকবার পড়লে পাঠকের কয়েকবার পড়তে ইচ্ছে করবে। কাব্যগ্রন্থটিতে একটি মানুষের নিজের ভিতর যে দ্বন্দ চারিত্রিক রূপে তা খেক ফুটিয়ে তুলেছেন।
সারাক্ষণ ঘুমাই শুধু,আলাভোলা বুদ্ধিহীনের মতো / হাবাগোবার মত,কুম্ভকর্ণের মতো / না ঘুমিয়ে উপায়কি ? জেগে উঠলেইআমি বিদ্রোহী / ধর্মওয়ালা বলে আমি ধর্মহীন,রাষ্ট্রওয়ালা বলে আমি রাস্ট্রবিরোধী / পুঁজিওয়ালা বলে আমি পুঁজিবিরোধী,শান্তিওয়ালা বলে আমি অশান্তিকামি / মেজরটি বলে আমি মাইনরিটি,মাইনরিটি বলে আমি মেজরিটি। রপকের আশ্রয় নিয়ে কবিএখানে অল্পকথায় অনেক বিষয় তুলে ধরেছেন। কাব্যে মাধ্যমে সামাজিক অসঙ্গতি,অন্যায়-অত্যাচার,নানা ধরণের কুসংস্কার,মানুষে মানুষে বিভেদ এসব বিষয় তিনি কবিতার মাধমে অত্যন্ত সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ব্রেইন ওয়াশ কবিতাটিতে মানুষকে কিভাবে ব্রেইনওয়াশ করা হয় তা কবিতার মাধম্যে প্রকশ করেছেন। প্রতিবেশী কবিতার মধ্যে এক প্রতিবেশী অন্য প্রতিবেশীর মধ্যে সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্না,একজন অপরজনকে সাহায্য আবার মনমানিণ্য কবিতার মাধ্যমে সুন্দর ভাবে প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেশী তারা প্রতিবেশী মোরা / বিপদে -আপদে পরম হিতৈষী সদা / স্বজন হয়ে দিবা নিশি করে মেশা মেশি / সম্পর্ক বঁাধনে তবু হাজার কষাকষি।
মানুষ অনেক কথা মুখ ফুটে বলেনা, পারিবারিক,,সামাজিক,রাজনৈতিক,ধর্মীয় অনুশাসন বা নানান পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে।মানুষ না বললেও মানুষের মনে কথাগুলো বাজে।হৃদয়ে অনুরণনহয়। ঘর বা পরিবারের কথা হোক,ব্যাক্তিগত প্রেমেরকথা হোক,কিংবা নিষিদ্ধ সম্পর্কেরকথা হোক। আমরাঅনেককথাবলিনা অথচ কথাগুলোআমাদের ভেতরেঅনবরত ঢেউ খেলতে থাকে। বইয়ের কবিতাগুলোও সেরকম সব কথা ,যা আমরা সচরাচর বলিনা,কিন্তু মননে মগজে এসবকথা খই ফুটতে থাকে,হাতুড়ি পেটানোর মতো মাথায় দ্রিম দ্রিম মাথায় বাজতে থাকে। সে সবকথা গুলোই রূপক শদ্ধে ,কবিতার বইটিতে ফুটে উঠেছে। কবি সফিকুল ইসলাম বলেছেন আমলারা কবিতা লেখতে পারবেনা বা তাদের কবিতা লেখা মানায় না কোথায় লেখা আছে। কেথায় আছে কে বলতে পারবেন। অনেকে আমলারা কবিতা লিখতে পারেন না বলে নাট ছিটকায়। যারা এ ধারণা পোষণ করেন তাদের হয়তো ইতিহাস জানার ঘাটতি আছে নয়তো না বুঝে তর্ক করেন। বাংলা সাহিত্যের ধ্রুব তারা বঙ্কিমচন্দ্র টট্টোপাধ্যায় কর্মময় জীবনে ছিলেন একজন আমলা তিনি কর্ম জীবন শুরু করেছিলেন ডেপুপি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লিখা দুটি চরণ আজ বাংলাদেশের গন্ডি পেড়িয়ে বিশ্বেও সমাদৃত।
‘যতদিন রবে পদ্ধা-মেঘনা-গৌরি বহমান
ততোদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান’ অন্নদাশস্কও এটি লিখেছেন। ইতিহাস থেকে জানা যায় তিনি জেলা জজ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরাও যে কবিতা লিখতে পারেন এবং অতীতে তারাও যে প্রসিদ্ধ কবি ছিলেন তার আরও অনেক উদাহরন দেয়া যাবে। সত্যিাকেরর কবিগণ কখনো শ্রেনী বিভেদ করেন না কারণ কবিতার জন্মই হয়েছে শ্রেনী বিবাধ দূর করার জন্য।
আগামী প্রকাশনির কর্তৃক প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থটিতে ৭৮ পৃষ্ঠায় ৪৯ টি কবিতা রয়েছে। নৈর্ঝর নৈঃশব্দ কাব্যগ্রন্থটির খুব সুন্দর প্রচ্ছদ একেছেন।এবারের বই মেলায় বইটি িবক্রি হয়েছে। মূল্য -২০০ টাকা ।