মোঃ শাহাদাত হোসেন, নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎ সংকটে জনদূর্ভোগ চরমে, শতভাগ বিদ্যুৎ নামে থাকলেও কাজে তা হাস্যকর। ২ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ আসলেও তার দীর্ঘস্থ মাত্র ১০-২০ মিনিট। দিন-রাত মিলিয়ে দিনে ৪ ঘন্টাও বিদ্যুতের দেখা মিলছে না এই উপজেলায়, আকাশে হালকা বৃষ্টি দেখা দিলেই বিদ্যুৎ উধাও হয়ে যায়। ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে পড়ছে চলমান এইচএসসি পরিক্ষার্থীরা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল লোটাস এমপির শতভাগ বিদ্যুতায়িত নির্বাচনী এলাকায় ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়টা কোন ভাবে মেনে নিতে পারছেননা সাধারণ গ্রাহকরা। সরকারের সাফল্যকে একটি মহল ইচ্ছাকৃত প্রশ্নবৃদ্ধ করছেন বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।
জানা যায়, উপজেলায় প্রায় পাঁচ লাখ লোকের বসবাস। বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ৪ এর অধীনে নাঙ্গলকোট জোনাল অফিস দু’টি সাব স্টেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছেন। শতভাগ বিদ্যুতায়িত এ উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করণের লক্ষে কুমিল্লা ছাড়াও নোয়াখালী এবং ফেনী গ্রীড থেকেও লাইন নেয়া আছে।
গ্রাহকরা বলছেন, পল্লী বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। নাঙ্গলকোট পৌর শহরে বিদ্যুৎ একটু ভালো থাকলেও গ্রামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের হাজার হাজার গ্রাহক।
উপজেলার শ্রীহাস্য গ্রামের শাহাদাত হোসেন বলেন, বিদ্যুতের তেমন দেখা যায় না, অনেকক্ষণ পর আসলেও ১০-২০ মিনিট পর আবার চলে যায়।
লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন সময় দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখতে দেখা যায়।
নাঙ্গলকোট জোনাল অফিস সহকারী মহাব্যবস্থাপক (ওএন্ডএম) শহিদুল ইসলাম বলেন, চাহিদার তুলনায় মেগাওয়াট কম পাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। পাশাপাশি জোড্ডায় একটি সাব-স্টেশন হলে লোডশেডিং অনেকটাই কমে যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :