এইচ.এম.তামীম আহাম্মেদ:
কুমিল্লায় জমিতে হালচাষকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের ২জন নিহত। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত ৫জন। ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে প্রেরন।
শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) জুম্মার নামাজের আগে কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার জালগাও দরবেশ বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিরোধপূর্ণ জমিতে সকাল আনুমানিক সারে দশটায় ট্রাক্টর নিয়ে হালচাষ করতে যায় মৃত হাসন আলীর ছেলে মোঃ সত্তার (৫২)ও তার স্বজন মোস্তফা সহ তাদের লোকজন৷ এসময় জমিতে চাষ করতে নিষেধ করেন খোরশেদ, জহির ও তদের পিতা জামাল গাজী। এ নিয়ে বাকবিতন্ডা হয় উভয় পক্ষের মাঝে। জমি বাড়িতে ফেরার পথে মেম্বার বাড়ির সামনে এলে পথরোধ করে খোরশেদ, জয়নাল, জহির, মোরশেদ ও জামাল গাজির ওপর ছুরি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় সত্তার, মোস্তফাসহ তার সহযোগীরা।
এসময় সত্তারের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত হয় খোরশেদ সহ আরো ৪জন। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় এলাকাবাসী। হাসপাতালে নেয়ার পথেই মৃত্যু হয় খোরশেদের (৩২) এদিকে এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী ধাওয়া করে সত্তারকে গণধোলাই দেয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর সত্তারের মৃত্যু হয়। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহতদের মাঝে তিনজনকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। আহতদের মাঝে জহিরের অবস্থা আশংকাজন বলে জানা গেছে।
নিহত খোরশেদের মা স্ত্রী ও স্বজনরা জানান; সাত্তার খোরশেদ আলমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। সে পানি চাইলেও তাকে পানি দেয় নি। অতঃপর আমাদের স্বজনরা ঠেকাতে গেলে তাদের উপড় চওড়া হয়ে ছুরিকাঘাত করতে থাকে । রক্ত দেখে জায়গা স্ট্রোক করে সাত্তার তারপর পর শুনি মারা গেছে।
খোরশেদ আলমের একটি ছেলে ও কন্যা সন্তান রয়েছে। আমরা কি জবাব দিবো তাদের।
নিহত সত্তারের কন্যা বলেন; খোরশেদের স্বজনরা মিলে আমার বাবাকে হত্যা করেছে তবে আমার বাবার লাশ এখনও দেখি নি। কোথায় আছে তাও জানি না।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন জানান; যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত কাওকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা তদন্ত চালাচ্ছি। আশা করি অতি দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারব।
ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান
বলেন ; দীর্ঘদিন যাবত জায়গা জমি নিয়ে ঝামেলা চলছে – এ নিয়ে অসংখ্য মামলাও রয়েছে। তাদের অসংখ্যবার সতর্ক করলেও তারা বিবাদে জরায়৷
এঘটনায় অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান করছে। ঘটনার পর থেকে পুরে গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিজার করছে
আপনার মতামত লিখুন :