চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুলিশের উপর হামলা করে কাজী এমদাদ নামের এক আসামীকে ছিনতাই করে নিয়েছে তার অনুসারীরা। এ সময় তাদের হামলায় ৩ পুলিশসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন; সহকারী উপ-পরিদর্শক আজিম উদ্দিন, কনষ্টেবল জাকির হোসেন, আবু বকর ছিদ্দিক ও সিএনজি অটোরিকশা চালক সাইফুল ইসলাম। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের করপাটি গ্রামে।
এমদাদ স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা।
তিনি জানান, ওই গ্রামের আবুল হাশেম ডিলারের ছেলে কাজী এমদাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক ছিল। বুধবার বিকেলে কাজী এমদাদ ওই ইউনিয়নের চন্দ্রপুর নামকস্থানে অবস্থান করছে-এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপ-পরিদর্শক আজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে কাজী এমদাদকে চৌদ্দগ্রাম থানায় নিয়ে আসার সময় করপাটি এলাকায় পৌঁছলে তাঁর অনুসারীরা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। হামলায় থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক আজিম উদ্দিন, কনষ্টেবল জাকির হোসেন, আবু বকর ছিদ্দিক ও সিএনজি অটোরিকশা চালক সাইফুল ইসলাম আহত হন।
খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাজী এমদাদ যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। গত ইউপি নির্বাচনে তার বড় ভাই কাজী ইকবাল হোসেন আ’লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নির্বাচন চলাকালিন সহিংসতার ঘটনা ঘটে। তার বিরুদ্ধে থানায় দাঙ্গা-হাঙ্গামার মামলা হয়। এছাড়াও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আ’লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করায় তার বিরুদ্ধে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা রয়েছে। নির্বাচনের পর পরই তিনি সৌদিআরবে চলে যান। গত কয়েকদিন আগে তিনি ছুটিতে বাড়িতে আসেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, কাজী এমদাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। বুধবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে এমদাদ ও তার অনুসারীরা পুলিশের উপর হামলা করে। এ সময় এক পুলিশ অফিসারসহ চারজন আহত হয়। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পলাতক এমদাদ ও তার সহযোগিদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :