সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ।।
কুমিল্লা নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ড কোটবাড়ি সড়কের চাঙ্গিনি দক্ষিণ মোড় এলাকায় রবিবার (২০ শে মার্চ) আবুল হাশেম (৪২) নামে এক ব্যক্তির পায়ে রশি বাঁধা লাশ পাওয়া যায়।ঘরের দেওয়ালে একটি রহস্যময় লেখা নিয়ে এলাকাতে চলছে আলোচনা সমালোচনা।লেখাটিতে লিখা রয়েছে
“আমি তাজুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন হাসেমকে অমি মেরেছি আমরা ৪ চার ছাহেদ আলী ছেলে মোঃ হোসেন শাহাজানের ছেলে মোঃ মামুন জয়নালের ছেলে মোঃ আফসারুল আজারুল চাবপুরের মফিজ হাসেম আযাদের কাছে ৪ চার লক্ষ টাকা পউনা হাসেম সহ চার জন খুন করেছি”।
মৃত আব্দুস সালামের ছেলে হাশেমের লাশ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠান।পরবর্তীতে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর হওয়ার পর দাফন কাপন শেষে অপমৃত্যু মামলা করেন নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম(৩৪)।
নিহত ব্যক্তি আবুল হাশেম (৪২) পেশায় একজন গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন।এদিকে নিহত আবুল হাশেমের মেঝো ভাই হাবিবুর রহমান বলেন,আমরা ৫ ভাই ২ বোন হাশেম আমার ছোট।আমার কাছে হাশেমের মৃত্যুটি স্বাভাবিক মৃত্যু মনে হয়না।কারন আমার মা মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রথমে এসে দেখেন ঘরের ভিতরে পায়ে রশি বাঁধা অবস্থায় আমার ভাই মেজেতে পড়ে আছে।আমার মা স্বরল মনে রশিটি খুলে রাখে।পরবর্তীতে পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।
আবুল হাশেমের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন,আমার স্বামী আমার সাথে অনেকদিন যাবৎ অস্বাভাবিক আচরন করে আসছিলো।মৃত্যুর আগের দিন আমার সাথে অস্বাভাবিক আচরন করে এবং ঘরে তালা মেরে বাহিরে চলে যায়।তখন আমি ও আমার ছেলে পাশের বাড়িতে ঘুমাই।বিকেলে শুনি আমার স্বামী মারা গেছে।আমার একটি ছেলে পলিটেকনিক্যাল কলেজে পড়ে। আর ২ টি ছেলে ছোট।আমার এখন দেখার মতো আর কেহ নেই।
এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী বলেন,এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখনো বলা যাচ্ছেনা।পায়ে রশি বাঁধা ছিলো এ ব্যপারে আমরা অবগত নই।তবে দেওয়ালের লেখা সহ আরো কিছু আলামত আমরা পেয়েছি।এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।