বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বাধীনতার মূল্যবোধের বিপক্ষের আদর্শের অনুসারী: কুবি উপাচার্য


admin প্রকাশের সময় : মার্চ ৩১, ২০২৪, ৪:৪৮ অপরাহ্ন /
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বাধীনতার মূল্যবোধের বিপক্ষের আদর্শের অনুসারী: কুবি উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বাধীনতার মূল্যবোধের বিপক্ষের আদর্শের অনুসারী বলে অভিযোগ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

রবিবার (৩১ মার্চ) একটি বেসরকারি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিক্ষকদের নামে এমন মন্তব্য করেন উপাচার্য।

এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বক্ষেত্রে জামায়াতের অনুসারীদের আধিক্য রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ সিনিয়র পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মচারীই স্বাধীনতার মূল্যবোধের বিপক্ষের আদর্শের অনুসারী ছিলেন। স্থানীয় প্রভাবশালীরা আদর্শের পরিবর্তে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ায় সর্বক্ষেত্রে জামায়াতের অনুসারীদের আধিক্য রয়েছে। এদের অনেকেই বর্তমানে দুই দলে ভাগ হয়ে সবাই আওয়ামী লীগের লেবাস ধরেছে এবং দুইটি বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠন করে রাজনীতি করছে। এদের মধ্যে নেতৃত্বে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষক।

এরপরই প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষকের সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। উপাচার্য এহেন মন্তব্য শিক্ষকদের জন্য হেয়কর। যখনই শিক্ষকরা উপাচার্যের সীমাহীন অনিয়ম, দূর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতায় বাঁধা প্রদান করেছেন তখনই তিনি নিজের অনিয়ম, দূর্নীতিকে দামাচাপা দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের নামে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। একজন উপাচার্য হয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নামে মিথ্যাচার করছেন। যা শিক্ষকদের জন্য অবমাননাকর।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, উপাচার্য গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন এটা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উনি হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। এখানে তিনি বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক বিএনপি-জামায়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা শিক্ষকরা এটার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উপাচার্য তার অনিয়ম, দূর্নীতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে পিছিয়ে দিচ্ছে। উনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনিয়ম ও দূর্নীতি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। উনি টেন্ডারবাজিতে লিপ্ত এবং নিয়োগে বিএনপি-জামায়েতকে সহযোগিতা করছেন। মার্কেটিং বিভাগের একজন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন যার বাবা ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার বন্ধু। উনি যাকে প্রক্টর নিয়োগ দিয়েছেন সে ২০১১ সালের আগ পর্যন্ত বিএনপির রাজনীতির সাথে ছিল এবং তার পরিবার বিএনপি সমর্থিত। আর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপি জামায়াতকে উনি পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। আমরা মনে করি উপাচার্য তার ব্যর্থতা ও অনিয়ম দূর্নীতি এগুলো ডাকার জন্য উনি শিক্ষকদের সম্পর্কে মিথ্যাচার করছেন।

উপাচার্য হয়ে শিক্ষকদের নিয়ে এমন মন্তব্য করতে পারেন কিনা জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে একাধিকবার মুঠোফোন কল দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।