শিক্ষা-দীক্ষা
-কাজী ফারিয়া ইসলাম
ব্যাঙ্গাত্মক এই প্রশ্ন যদি আমায় করা হয়-
এতোশত ডিগ্রি নিয়ে কি এমন করিলা রাজ্য জয়?
আমি তখন বলি-
মশাই,করিবেন ভুল সব মার্জন,
আমি এখনো করছি ডিগ্রি অর্জন।
হাল্কা কেশে গলাটা একটু করি পরিষ্কার,
ধীরেধীরে বলে যাই আমার সব আবিষ্কার।
আমি কখনো ফুটবলার, কখনো বা ক্রিকেটার,
আমিই শিক্ষিকা,আমিই ডাক্তার।
কখনো আমি সুইপার কখনো বা সিং-গার,
আমার ছেলের ঘোড়ার গাড়ির আমিই ড্রাইভার।
ফ্যাশন ডিজাইনেও আমি বেশ পটু,
ধোপার কাজটাও ভালোই করি, একটু আধটু।
রান্না নিয়ে আর কি -ই – বা করব বড়াই,
রান্নার জ্ঞানটা দিন দিন বেড়েই চলছে মশাই।
কিসের সাথে যে কি মিশাই,
আমার ক্ষুদ্র ভোজকের সাথে চলে আমার তীব্র লড়াই।
আমি বেশ ভালো বডিগার্ড ও বটে!
ছোট্ট পোকা কিংবা ক্ষুদ্র ময়লা,
সব কিছুই ধরা পড়ে আমার দুচোখে।
নির্ঘুম রাত কাটানোতে আমি এখন ওস্তাদ।
অভিনয়টাও রপ্ত করেছি, তবে ভুল হয় টুকটাক।
কার্টুনের সব চরিত্রে আমি এখন পারদর্শী বড্ড,
গায়িকা হিসেবেও কণ্ঠ আমার ভালোই সুশ্রাব্য।
মাস্টার মশাই,
এবার তো দেখবেন আমার কথার ভুলগুলো।
কাগজের ডিগ্রিকে অপমান করায়, আমায় করবেন তুলোধুনো।
তবে বলি একটু দাঁড়ান,
শিক্ষার আলো যদি না-ই দিত আমায় জ্ঞান,
কি করে দিতাম ছোট্ট সোনার রঙিন জীবনে প্রাণ!
নিজের যদি না থাকে,জ্ঞান-বুদ্ধি-শিক্ষা,
কি ভাবে-ই বা দিতাম আমার ছোট্ট সোনাকে জীবনের দীক্ষা?