নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
এবার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মু রুহুল আমিনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গতকাল ভাইরাল হয়েছে। আবুল কালাম আজাদ কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
ভিডিওতে দেখা যায়, গত শনিবার রাতে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আবুল কালাম আজাদ দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভা থেকে রাগান্বিত হয়ে বের হয়ে গেলে তাকে ফিরিয়ে আনতে যান কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মু রুহুল আমিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবুল কালাম আজাদ মু রুহুল আমিনকে গালমন্দ ও বুকে ধাক্কা দেন। এ সময় আশপাশের নেতারা এসে রুহুল আমিনকে জড়িয়ে ধরে আবুল কালাম আজাদকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। এর পরও আবুল কালাম আজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে সভাপতির দিকে একাধিকবার তেড়ে আসেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে উপস্থিত নেতারা সভাপতিকে নিয়ে অন্য সভাকক্ষে ফিরে যান।
এদিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় জেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা একজন সিনিয়র নেতাকে লাঞ্ছিত ও শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ করায় আবুল কালাম আজাদের বিচার দাবি করেন।
এর আগে ওই সভায় দেবিদ্বারের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের মধ্যে বাগবিত-া এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম ওমানি বলেন, জেলা সভাপতির ওপর এমন হামলা এবং তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনার বিচার হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মু রহুল আমিন বলেন, নিজ দলের একজন রাজনৈতিক সহযোদ্ধার কাছে এমন আচরণ কখনো প্রত্যাশা করিনি, আমি সব সময়ই সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু আবুল কালাম আজাদ কী কারণে আমার সঙ্গে এমনটি করল সেটা বুঝতে পারছি না, আর বিস্তারিত তো আপনারা ভিডিওতেই দেখেছেন? এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই, সার্বিক বিষয়গুলো দলের কেন্দ্রীয় নেতারা মনিটরিং করছেন, তারাই যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে ফোন করা হলেও তিনি হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বক্তব্য প্রদান করেননি।