চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধিঃ
১৪মাস বয়সী শিশু খাদিজার লাশ কোলে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় হাজির হলেন মা সুরাইয়া বেগম। অভিযোগ পাশে মৎস্য ফিশারীর পুুকুরে পড়ে তাঁর একমাত্র সন্তান মারা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার গোমারবাড়ী নামক স্থানে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের তাজুল ইসলামের একমাত্র শিশু কন্যা ১৪মাস বয়সী খাদিজা বুধবার সন্ধ্যায় আগে ঘরের পাশে কালাম মিয়ার মৎস্য ফিশারীর পুকুরে পড়ে মারা যায়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরবর্তিতে এলাকাবাসীর সহায়তায় খাদিজার মা সুরাইয়া বেগম লাশ কোলে নিয়ে মৎস্য ফিশারীর মালিক কালামে বিচারের দাবী জানিয়ে প্রথমে সহকারী কমিশনার ভূমি তমলিকা পালের কাছে নিয়ে গেলে তিনি তাদেরকে থানায় যাওয়া পরামর্শ প্রদান করেন।
প্রতিবেশী যুবক নাদিম বলেন, আমার মা মুমুর্ষ অবস্থায় খাদিজাকে মৎস্য ফিশারীর পুকুর থেকে তুলে নিয়ে আসে। আমরা তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। নাদিম আরো বলেন, ওই মৎস্য ফিশারীতি আমাদের ঘরের পাশে অবস্থিত। গভীর অনেক। জনবসতি এলাকা হওয়ার সত্তেও ফিশারীর মালিক কালাম শিশুদের জন্য নিরাপত্তা বেষ্টনি না দেওয়ায় শিশু খাদিজা পুকুরে পড়ে মারা যায়।
খাদিজার মা সুরাইয়া বেগম বলেন, কান্না জড়িত কষ্ঠে বলেন আমার একমাত্র সন্তান কালামের মাছের পুকুরে পড়ে মারা যায়। আমি কি নিয়ে বেঁচে থাকবো। আজ যদি ওই ফিশারীতে নেট লাগিয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতো তাহলে হয়তো আমার বুকের ধন মারা যেত না। আর যেন কোন মায়ের বুক এইভাবে খালি না হয়। কালামে বিচারের দাবিতে আমার সন্তানের লাশ নিয়ে আমি থানায় হাজির হয়েছি।
এব্যাপারে কালামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁর মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, আমি সরকারি কাজে কুমিল্লায় আছি। শুনেছি এক মহিলা শিশুর লাশ নিয়ে থানায় হাজির হয়েছে। ডিউটি অফিসারকে বলেছি বিষয়টি দেখার জন্য।